মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ইসরায়েলের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র টমি পিগট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আজ ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সা’র একমত হয়েছেন যে, এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখা অত্যাবশ্যক।
বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করছিলেন, তখন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন রুবিও। আনাদোলু রুবিওকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তিনি গাজায় সাংবাদিক ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করবেন কিনা, কিন্তু তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
চলতি সপ্তাহে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি দ্বিগুণ হামলায় সাংবাদিক, জরুরি সেবাকর্মী ও অন্যান্যরা নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভের মধ্যে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার আরও দু’জনের মৃত্যুর পর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার হোয়াইট হাউসে গাজার যুদ্ধোত্তর ভবিষ্যতের প্রস্তাব নিয়ে প্রেসিডেন্টকে ব্রিফ করছিলেন।
এক্সিওস নিউজ সাইট জানিয়েছে যে তাদের “পরদিন” পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে হামাস ছাড়াই গাজায় শাসন এবং মানবিক সহায়তা সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা।
মার্চের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সহায়তা অবরোধ ছিটমহলের ২.৪ মিলিয়ন বাসিন্দার জন্য বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যার ফলে দুর্ভিক্ষ, ব্যাপক রোগ এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি ভেঙে পড়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল যুদ্ধে ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ছিটমহলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও রয়েছে।